আজিমগঞ্জ রায় বুধ সিং বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় (উঃ মাঃ)
Azimganj R.B.S.B. High School (H.S.)
Raja Rai Budh Singh |
Azimganj Rai Budh Singh Bahadur High School
|
মস্ত এক জায়গায় বিরাট ইমারতের মত এর অবস্থান। এর চতুর্দিকে দেওয়াল দিয়ে ঘেরা এবং
সম্মুখভাগ সুকোমল সবুজ গাছপালা ও সবুজ ঘাসে মোড়া। বিদ্যালয়টি দ্বিতল এবং দুটি
খন্ডে বিভক্ত। মনরম এক পরিবেশ মণ্ডিত এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন শ্রী অমীরন
চৌধুরী মহাশয়, যার নেতৃত্বে বিদ্যালয়টির বাতাবরন ও নিয়মশৃঙ্খলা পরিচালিত ও
নিয়ন্ত্রিত হয়। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে রয়েছেন আরও অনেকজন শিক্ষক ও শিক্ষকা ।
তাঁরা
বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। এটি একটি উচ্চমাধ্যমিক
বিদ্যালয়। ৮ টি শ্রেণিতে বিভক্ত এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীর জন্য আলাদা আলাদা
শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। এই ৮ টি শ্রেণী আবার বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত। যথা- ক)বিভাগ,
খ)বিভাগ, গ)বিভাগ প্রভৃতি। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর প্রতিটি বিভাগে প্রায় ৮০ জন করে
ছাত্র রয়েছে এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে রয়েছে প্রায় ১৫০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী।
প্রতিটি শ্রেণীর প্রতিটি বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা প্রদানের জন্য বিভিন্ন
প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। সেই প্রশিকশোনপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের
দ্বারা ছাত্রছাত্রীদের অত্যন্ত যত্নের সহিত শিক্ষা প্রদান করা হয়।
Front Side of Azimganj Raibudh Singh Bahadur High School (H.S.) |
পঞ্চম ও ষষ্ঠ
শ্রেণীতে রয়েছে ছয়টি করে বিষয়।যথা-বাংলা,ইংরেজি,অঙ্ক,বিজ্ঞান ভূগোল এবং ইতিহাস। সপ্তম
ও অষ্টম শ্রেণীতে ঐ ছটি বিষয় ছাড়াও বিজ্ঞান এর দুটি শাখা যথা - প্রকৃতি বিজ্ঞান ও
জীবন বিজ্ঞান এবং সংস্কৃত বিষয় দুটি রয়েছে। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি
বিষয় বিভাগ রয়েছে,যথা-কলাবিভাগ ও বিজ্ঞানবিভাগ। কলাবিভাগ এ যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলি
হল- বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, দর্শন, ভূগোল, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি।
New building of Azimganj R.B.S.B. High School (H.S.) |
বিজ্ঞান
বিভাগে রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নবিদ্যা। এই
সমস্ত বিষয়গুলি বিভিন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্বারা পড়ানো হয়। বিজ্ঞান
বিভাগের বিষয়গুলি এবং কলাবিভাগের ভূগোল বিষয়টির জন্য আলাদা “Theory and Practical Room” রয়েছে। যেখানে কম্পিউটার এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করা হয়। প্রত্যহ বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হয়
বেলা ১১টা থেকে, মাঝে ১টা বেজে ৪৫ মিনিটে টিফিন বিরতি হয় এবং পঠনপাঠন সমাপ্ত হয়
বিকেল ৪টে বেজে ৩০ মিনিটে। এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দের
সহিত জ্ঞান অর্জনে অঙ্গিভূত হয়। শিক্ষা অর্জন ছাড়াও সকলকে কিছু নিয়মশৃঙ্খলা পালন
করতে হয়। এই নিয়মশৃঙ্খলাগুলি হল নিম্নরূপ-
নিয়মাবলী -
১) প্রত্যহ বিদ্যালয়ে ১০টা
৩০ মিনিট এর মধ্যে সকলকে উপস্থিত হতে হবে।
২) প্রত্যেক
ছাত্রছাত্রীকে বিদ্যালয়ের পোশাক পরিধান করে আসতে হবে।
৩) প্রত্যহ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রার্থনার জন্য সকল ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকশিক্ষিকার
উপস্থিতি বাঞ্ছনিয়।
৪) বিদ্যালয়ের
পঠনপাঠন শুরু হলে অন্যথা সময় নষ্ট না করা।
৫) শিক্ষক-শিক্ষিকার সহিত
ভদ্র আচরন করা।
৬) যত্র তত্র
থুতু ও খাদ্যসামগ্রী না ফেলা।
৭) অনুচিৎভাবে
কাউকে আঘাত না করা।
8) প্রত্যহ সমস্ত ক্লাসে অংশগ্রহণ
করা।
৯) বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে
সাদরে অংশগ্রহণ
করা।
১০) অসৎ উপায় অবলম্বন না করা।
বিদ্যালয়ের এই সকল নিয়মাবলী সকলে সমানভাবে ও মনযোগসহকারে পালন করে চলে। এই
কারনেই বিদ্যালয়টির পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত ও সুখময়কর।পঠনপাঠন ছাড়াও বিদ্যালয়টিতে
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে। যথা-রবীন্দ্রজয়ন্তী, নেতাজীজয়ন্তী, শহীদ
দিবস, স্বাধীনতা দিবস প্রভৃতি।
এছাড়াও, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষে এক বিরাট অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই বিদ্যালয়ে। সেই অনুষ্ঠানটি হল “নবীনবরন ও বার্ষিক পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান”। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রতি বছর প্রবীনরা নবীনদের রাখী পড়িয়ে,কলম ও পুষ্প দিয়ে সাদরে বরন করে নিয়ে তাদের আহ্বান জানাই এবং যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাবী স্থান গ্রহন করে তাদের পুরষ্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এর সঙ্গে চলে এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সকলে অত্যন্ত আনন্দের সহিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং তাতে অংশগ্রহন করেন। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা। এই সমস্ত অনুষ্ঠান ছাড়াও জানুয়ারী মাসের শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মাঘ মাসে দেবী সরস্বতীর পূজো হয়ে থাকে। এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি একটি সুখময়কর ও সুবাতাবরন যুক্ত পরিবেশে পরিণত হয়ে ওঠে। অবশেষে আমার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বলতে পারি Azimganj Rai Budh Singh High School টি সুবাতাবরন ও নিয়মশৃংখলা মণ্ডিত একটি উচ্চ বিদ্যাস্থল, যেখানে বিদ্যাদেবী মা সরস্বতীর আরাধনার মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয় তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা নিজেদের জ্ঞানের বিস্তার ঘটিয়ে নিজের পরিবার ও দেশকে গর্বের আসনে প্রতিস্থাপিত করে।
Amiran Choudhury - Head Master of Azimganj Rai Budh Singh High School |
এছাড়াও, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষে এক বিরাট অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই বিদ্যালয়ে। সেই অনুষ্ঠানটি হল “নবীনবরন ও বার্ষিক পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান”। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রতি বছর প্রবীনরা নবীনদের রাখী পড়িয়ে,কলম ও পুষ্প দিয়ে সাদরে বরন করে নিয়ে তাদের আহ্বান জানাই এবং যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাবী স্থান গ্রহন করে তাদের পুরষ্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এর সঙ্গে চলে এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সকলে অত্যন্ত আনন্দের সহিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং তাতে অংশগ্রহন করেন। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা। এই সমস্ত অনুষ্ঠান ছাড়াও জানুয়ারী মাসের শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মাঘ মাসে দেবী সরস্বতীর পূজো হয়ে থাকে। এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি একটি সুখময়কর ও সুবাতাবরন যুক্ত পরিবেশে পরিণত হয়ে ওঠে। অবশেষে আমার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বলতে পারি Azimganj Rai Budh Singh High School টি সুবাতাবরন ও নিয়মশৃংখলা মণ্ডিত একটি উচ্চ বিদ্যাস্থল, যেখানে বিদ্যাদেবী মা সরস্বতীর আরাধনার মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয় তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা নিজেদের জ্ঞানের বিস্তার ঘটিয়ে নিজের পরিবার ও দেশকে গর্বের আসনে প্রতিস্থাপিত করে।
This article written by : Sujata Das (H.S. - 2012)
and
Edited by : Amit Das (H.s. - 2009)
i miss my school very much
ReplyDeleteApollo Clinic - Berhampore
ReplyDeleteAnnada Enclave, 88, Pilkhana Rd, Ranibagan, Berhampore, West Bengal 742101
03482 251 111